Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রখ্যাতব্যক্তিত্বর নাম। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলাউদ্দিন হোসেন। পিতা: কলিম উদ্দিন, মাতা: আবেদা খাতুন, গ্রাম: দাক্ষিনপাড়া, ডাকঘর: বান্ধবদৌলতপুর, উপজেলা: মাদারীপুর সদর, জেলা: মাদারীপুর।

১৩ নভেম্বর ১৯৭১, ২৬ কার্তিক ১৩৭৮ তারিখ শনিবার প্রত্যুষে রাজাকার ও পাবকিস্তানি বাহিনী রাজৈর থানার পাথুল্যা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে অতর্কিত হামলা চালায়। মুত্তিয়োদ্ধারাও আক্রমণ প্রতিহত করে মর্টার ও এল,এম,জি দিয়ে পাল্টা গোলগুলি নিক্ষেপ করে। এ সম্মুখ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন শহিদ হন। তিনি ছিলেন খুন সাহসী। অপর পক্ষে  মুক্তিযোদ্ধারদের নিক্ষিপ্ত মর্টার শেলের আঘাতে আহত হয় কয়েক পাকিস্তানি সেনা। টেকেরহাটের রাজাকার কমান্ডার মনি হাওলাদার পাকিস্তানি সেনাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে আসে পাথুল্লা গ্রামে। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল পাথুল্লা গ্রামের শুনিল বালা ও রাসু মৃধার বাড়িতে। গয়লা বাড়িতে রাজৈল কমান্ডার আব্দুল কাদের মোল্লার ক্যাম্প ছিল। পাকিস্তানী বাহিনী ও রাজাকাররা শুনিলবালার বাড়ির ক্যাম্প দখল নিয়ে গয়লা বাড়ির ক্যাম্প এর দিকে তিন ইঞি মর্টারের অবিরাম গোলা নিক্ষেপ করতে শুরু করে। খলিল বাহিনীর কাছ থেকে দুই ইঞি মর্টার এনে পাল্টা গোলা নিক্ষেপ করা হয়। মার্টারের গানম্যান ছিলো বেলাল শরীফ। যুদ্ধের এক পর্যায়ে পাকিস্তানী বাহিনীর একটি তার মাথার চুল ছিড়ে নিয়ে যায়। সামান্যর জন্য সে রক্ষা পায়। ফেরার পথে পাকিস্তানী সেনা ও রাজাকাররা ধান খেতের পানির মধ্যে আলাউদ্দিনের ভাসমান লাশ টেনে এনে আমগ্রাম ব্রীজের উপর তোলে। পরে জীপ গাড়ীর পেছনে আলাউদ্দিনের লাশ বেধে বেশ কিছু সময় টানাহেছড়া করে। পরে আলাউদ্দিনের লাশ ব্রীজের নীচে বেধে নদীতে ফেলে দেয়।